বাজার নেই, হল নেই, ব্যবসা নেই। তা হলে জেনেশুনে সিনেমামানুষ আগুনে ঝাঁপ কেন দিচ্ছে? চলচ্চিত্র প্রযোজনার সাথে যারা জড়িত বা জড়িত নয়, সবারই একটাই কথা – মার্কেট নেই, ইনভেস্ট করে কি লাভ ?
একথা ঠিক পেশাদারি মনোভাব সম্পন্ন প্রযোজক নেই। পরিচালকের হাত ধরে প্রযোজক আসে না। মনে রাখতে হবে রূপকথার দিনগুলোর গল্প শুনিয়ে, ভুলিয়ে ভালিয়ে সিনেমায় লগ্নি করালে, যা হয়, তাই হচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীকে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তা হলে সে তার বিনিয়োগ উঠাতে নিজের পথ নিজেই তৈরি করবে। মার্কেট নিয়ে পড়াশোনা করবে, গবেষণা করবে।
আমাদের অনেকেরই জানা নেই, গত দু বছরে চলচ্চিত্র মার্কেটের বেশ কয়েকটা নতুন দরজা খুলেছে। চলচ্চিত্র এখন অনেকটা স্টুডিও নির্ভর ও কারিগরি নির্ভর হয়ে পড়েছে। প্রদর্শনের নতুন নতুন মাধ্যম আসছে। এই ধরুন প্যান ইন্ডিয়া মার্কেট, ওভারসীজ মার্কেট। ওটিটি, ডিজিটাল স্যাটেলাইট ও স্পন্সর তো আছেই। সিনেমা হল থেকে আয় এখন একমাত্র আয় নয়। চলচ্চিত্রের দৈনন্দিন খরচ এখান থেকে আসে না। এই আশায় থাকলে কস্টিং কষ্ট উঠবে না। সিনেমা হল থাকুক, নতুন হল হোক, সিনেপ্লেক্স হোক। কিন্তু শুধু এ নিয়ে পড়ে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্প টিকবে না। নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। পি. আর ঠিক ঠাক মত করলে সুপারস্টার ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়। ষ্টার বা তারকা নির্ভর মার্কেট এখন সিনেমা বাণিজ্যের দেশেগুলোতে নেই। কৌশল ও মার্কেটিং মূল কথা। উদাহরণ হিসেবে ভারতের মাঝারি মানের সিনেমা অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ শুধুমাত্র পি. আর. এবং আইটেম গানের জোড়ে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। কোরতলা শিবা পরিচালিত ‘দেবারা: পার্ট ওয়ান বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে। এরা বাজার, দর্শক রুচি, দর্শক চাহিদা নিয়ে ব্যপক গবেষণা করেছে। আমাদের এখানেও এ ধরনের বিষয়াবলিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। নতুন – নবীনদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। গল্প ও নির্মাণ দুটি ক্ষেত্রেই চিন্তার আকাশ বড় করতে হবে।
চলচ্চিত্র বাজার