বাংলা গানের এক অবিস্মরণীয় নাম সোহাগ। নব্বইয়ের দশক থেকে আজ পর্যন্ত, তার কণ্ঠের জাদু আজও সমানভাবে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চলেছে। অনেক শিল্পীর জনপ্রিয়তা সময়ের সাথে ফিকে হয়ে এলেও সোহাগের আবেদন যেন চিরন্তন। তার গান শুধু বিনোদন নয়, বরং শ্রোতাদের প্রতিদিনের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আমরা যারা পিসিতে কাজ করার সময় গান শুনি, তাদের প্লেলিস্টে সোহাগের গান থাকবেই।
সোহাগের গানগুলোর মধ্যে “লাল শাড়ি” বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই গানটি তাকে শুধু জনপ্রিয়তা নয়, বরং বাংলা গানের জগতে একটি নিজস্ব পরিচিতি দিয়েছে। এই গানটি এমন একটি সৃষ্টি, যা বহু বছর পরেও সমান প্রাসঙ্গিক। এই গানের কথা, সুর, আর সোহাগের আবেগঘন পরিবেশনা—সবকিছু মিলে এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে। এছাড়া, “ওলো আমার পড়ান সখী”, “ও বন্ধুরে”, এবং “দিঘীর জলে আসবা তুমি” গানগুলোও শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে একজন শ্রোতা ও ভক্ত হিসেবে আমার কাছে “দিঘীর জলে আসবা তুমি” গানটির মাদকতা এতই তীব্র যে এর নেশা কাটাতে পারা কঠিন। এই গানটি না শুনতে পারলে যেন এক ধরনের অসুস্থতা বোধ হয়, যা প্রমাণ করে গানটি কতটা গভীর প্রভাব ফেলে শ্রোতার মনে।
সোহাগের জনপ্রিয়তা শুধু তার গানের জন্য নয়, বরং তার ব্যক্তিত্ব এবং শিল্পের প্রতি তার নিষ্ঠার কারণেও। দীর্ঘ এই সময়েও তিনি তার সঙ্গীতের মান ধরে রেখেছেন, যা নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি, সোহাগ তার ভক্তদের জন্য আরেকটি নতুন উপহার নিয়ে এসেছেন—“চাঁদ মাখা মুখ”। এই গানটি সোহাগের প্রতি তার অনুরাগীদের ভালোবাসার প্রতি এক নতুন উপহার। এটি যেন সোহাগের সঙ্গীত জীবনের এক নতুন অধ্যায়, যা প্রমাণ করে যে তার সৃজনশীলতা এখনো শেষ হয়নি।
সোহাগের কণ্ঠ এবং সুর বাংলা সঙ্গীতকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। তার গানগুলো সময়কে অতিক্রম করে আমাদের হৃদয়ে টিকে থাকবে চিরকাল। বাংলা সঙ্গীতের আকাশে সোহাগের এই অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্ম সোহাগের গান শুনে অনুপ্রাণিত হচ্ছে এবং তার গানের প্রভাব আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।