কথা স্পষ্ট
পাবে না প্রশ্রয়
কোনো নষ্ট
‘দুর্বৃত্ত মুক্ত’ চলচ্চিত্র রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধ
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে জীবন্ত কিংবদন্তি, চলচ্চিত্রজন মেগাস্টার চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল। সুদীর্ঘ ৫৪বছর ধরে চলচ্চিত্র শিল্পের সারথি। চলচ্চিত্রের দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রত্যাশার ঘরে তুলেছেন জাগরণ। আমরা চাই সংকট বিমোচনের মশালধারী এই অগ্রপথিক সকল বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে নিয়ে যাবেন চলচ্চিত্রের স্বার্থসংরক্ষণের মূল মঞ্চে। আমাদের ফিরে তাকাতে হবে অতীতে। কাদের হাত ধরে বিকশিত হয়েছে এই চলচ্চিত্র। শুধু বিচার নয়, যাচাই করতে হবে,এখন কারা নিতে চায় নেতৃত্ব।
অস্তিত্বের লড়াইয়ে নেই কোনো ছাড়
করতে হবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন সংস্কার
.
আমাদের অর্জন স্বর্ণোজ্জ্বল
.
নবাব সিরাজউদ্দৌলা-খান আতাউর রহমান, জীবন থেকে নেয়া-জহির রায়হান,’আবার তোরা মানুষ হ-খান আতা, ওরা এগারো জন চাষী নজরুল, অরুণোদয়ের অগ্নি সাক্ষী- সুভাস দত্ত, সাত ভাই চম্পা- দীলিপ সোম, তিতাস একটি নদীর নাম-ঋত্বিক ঘটক, চিত্রা নদীর পাড়ে-তানভীর মোকাম্মেল, নদীর নাম মধুমতি-তানভীর মোকাম্মেল, সীমানা পেরিয়ে-আলমগীর কবির, বেদের মেয়ে জোসনা-তোজাম্মেল হক বকুল, সূর্য দীঘল বাড়ী-শেখ নিয়ামত আলী ও মসীউদ্দীন শাকের, ধীরে বহে মেঘনা-আলমগীর কবির , রুপালি সৈকতে-আলমগীর কবির, শ্রাবণ মেঘের দিন-হুমায়ূন আহমেদ, ছুটির ঘণ্টা-আজিজুর রহমান, বেদের মেয়ে জোসনা-তোজাম্মেল হক বকুল। এমন আরোও গৌরবোজ্জ্বল চলচ্চিত্রের নাম যাবে লেখা
.
এবং আমাদের অহংকার
.
আব্দুল জব্বার খানের ‘মুখ ও মুখোশ’
এহতেশামের ‘চান্দা’, ‘চকোরী’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘নতুন সুর’, ‘দূরদেশ’, ‘চাঁদনী’
সালাহউদ্দিনের ‘যে নদী মরুপথে’ ‘রূপবান’
জহির রায়হানের ‘কখনো আসেনি‘ ‘জীবন থেকে নেয়া’
সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ‘বিনিময়’ ‘বসুন্ধরা’ অরুণোদয়ের অগ্নি সাক্ষী, আবির্ভাব, ডুমুরের ফুল
খান আতাউর রহমানের ‘অনেক দিনের চেনা’ ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ও ‘সুজনসখী’
কাজী জহিরের ‘বন্ধন’ (১৯৬৪)। ‘ময়নামতি’, ‘অবুঝ মন’, ‘বধূবিদায়’
ইবনে মিজানের ‘একালের রূপকথা’ (১৯৬৫)। ‘বাহাদুর’, ‘নিশান’, ‘এক মুঠো ভাত’ ‘লাইলী মজনু’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’
আমজাদ হোসেনের ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে‘, ‘কসাই’, সুন্দরী’, ‘ভাত দে’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’
আজিজুর রহমানের ‘সায়ফুল মূলক বদিউজ্জামান’ অনুরাগ’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘ছুটির ঘন্টা’, ‘অশিক্ষিত’
শিবলী সাদিকের ‘বালা’ ‘তিন কন্যা’, ‘ভেজা চোখ’, ‘নীতিবান’, ‘দোলনা’, ‘ত্যাগ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘মায়ের অধিকার’
চাষী নজরুল ইসলামের ‘ওরা ১১ জন’ ‘সংগ্রাম’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘ধ্রুবতারা’ ‘দেবদাস’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘বিরহব্যথা’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’
আলমগীর কবিরের ‘ধীরে বহে মেঘনা’ ‘সীমানা পেরিয়ে‘ ও ‘সূর্যকন্যা’ রুপালী সৈকতে, সূর্য কন্যা
আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘অঙ্গীকার’ ‘সারেং বউ‘ ‘সখী তুমি কার’,‘দুই জীবন’
দীলিপ বিশ্বাসের সমাধী’, ‘দাবী’, ‘বন্ধু’ ‘অংশীদার’, ‘অপেক্ষা’, ‘অস্বীকার’, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘অজান্তে’
এ জে মিন্টু’র ‘মিন্টু আমার নাম’ ‘মান সম্মান’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘অশান্তি’, ‘সত্য মিথ্যা’ ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘লালু মাস্তান’ ‘বাংলার বধূ’
এরকম শতাধিক পরিচালকের নাম বলা যাবে, যাদের ঘামে গড়ে উঠেছে চলচ্চিত্র শিল্প।
লোভী বেনিয়াগোষ্ঠির হাতে চলচ্চিত্র শিল্প নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।
যার যার অবস্থান থেকে রুখে দাঁড়ান। আমরা যারা চলচ্চিত্র কর্মী, আমাদের অন্য কোনো পেশা নেই, এ আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। যে কোনো মূল্যে চলচ্চিত্রকে সৃজনশীল চলচ্চিত্রের মানুষের হাতে অর্পণ করতে হবে
সুবাতাস আসবেই…