দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা তার মানবিক ও পেশাগত দায়িত্ববোধের জন্য সবার কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জীবনের নানান ব্যস্ততা ও সংগ্রামের মাঝেও তিনি তার কর্মক্ষেত্র এবং ব্যক্তিগত জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। পঞ্চগড় জেলায় অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য তিনি টানা কয়েকবার ‘শ্রেষ্ঠ অফিসার’ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
নিজ উদ্যোগে তিনি থানার পরিত্যক্ত জায়গায় ফুলের বাগান গড়ে তুলেছেন, যা একসময় শ্যাওলায় ভরা ছিল। নিজ বাসভবনের চারপাশেও তিনি দেশি ফল ও সবজির চাষ করেছেন। তার মানবিক চেষ্টার প্রতিফলন শুধু পরিবেশে নয়, তার অফিসের ভেতরেও দেখা যায়। একসময় সাধারণ দেখতে ওসির কক্ষটি এখন ফুলগাছ, সুন্দর সোফা ও আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত, যা দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে তোলে। মুসল্লিদের সুবিধার জন্য থানার মসজিদের পথঘাটও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা, দ্রুততম সময়ে বিভিন্ন মামলার রহস্য উন্মোচন করা এবং স্থানীয় বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইভটিজিংসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধেও তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন, যার ফলে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অপরাধ দমনে দৃঢ় ভূমিকার কারণে দেবীগঞ্জ থানা পঞ্চগড় জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানার স্বীকৃতিও অর্জন করেছে।
ওসি সোয়েল রানার আন্তরিকতা তার আতিথেয়তায়ও প্রকাশ পায়। অফিসে আসা অতিথিদের চা-পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা তার একটি স্বাভাবিক অভ্যাস। তিনি বিশ্বাস করেন, একজন মানুষ সবার কাছে ভালো হতে পারে না, তবে দায়িত্ব থেকে যতটুকু সম্মান দেওয়া যায়, সেটুকুই আন্তরিকভাবে বজায় রাখা জরুরি। তার এই ইতিবাচক মানসিকতা থানার সামগ্রিক সেবামূলক কার্যক্রমে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
স্থানীয়রা মনে করেন, ওসি সোয়েল রানা হয়তো একদিন দেবীগঞ্জ থেকে চলে যাবেন, কিন্তু তার রেখে যাওয়া এই সুন্দর পরিবেশ ও মানবিক উদাহরণ মানুষের মাঝে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।