বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে জীবন বোধের উপন্যাস, লোকজ গল্প থেকে ইতিহাস নির্ভর কাহিনি চিত্র, পরিচালনা থেকে অভিনয়, ব্রাদার্স ক্লাব থেকে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট এমন কোনো জায়গা নেই যে সেখানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেননি কালজয়ী চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম। আজকে তাঁর জন্মদিন পালনের ভেতর দিয়ে আমরা যতটা না উনাকে সম্মান জানাচ্ছি, তার চেয়ে বেশি নিজেরা গর্ববোধ করছি। তার পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট বিতারণের আন্দোলনে রাজপথে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা আমাদের প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে।’
২৩ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থসংরক্ষণ কমিটি ‘র আয়োজনে কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের ৮৪ তম জন্মদিনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব চৌধুরি মাজাহার আলী শিবা সানু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র পরিচালক সাইদুর রহমান সাইদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, চিত্রনায়ক মেহেদি হাসান, হান্নান মজুমদার, অভিনেতা, কথাসাহিত্যিক ও কবি এবিএম সোহেল রশিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন মিলন, কেয়া, চলচ্চিত্র পরিচালক হানিফ রেজা মিলন, শফিউল আজম শফিক, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতি’র বক্তব্যে চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘চাষী নজরুলের হাত ধরেই আমার চলচ্চিত্র জগতে আসা। গল্পের যথাযথ উপস্থাপনে তাঁর যেমন মুন্সিয়ানা ছিল, তেমনি শিক্ষাগুরু হিসেবেই তিনি ছিলেন অনন্য।
চলচ্চিত্র পরিচালক সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, বিএফডিসির প্রায় শুরুর দিকেই তিনি চলচ্চিত্র জগতে আসেন। তার সহকারী সবাই স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা
অভিনেতা চৌধুরি মাজাহার আলী শিবা সানু বলেন ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে চাষী নজরুল ছিলেন অকুতোভয় ও বিচক্ষণ। জাতীয়তাবাদী আদর্শের এমন সাচ্চাকর্মী পাওয়া দষ্কর।’
অভিনেতা মেহেদি বলেন, উপস্থাপনের নান্দনিকতায় চাষী নজরুল ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের নির্মাতা’
চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন মিলন বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা ও রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে চাষী নজরুল আমাদের বাতিঘর।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক হানিফ রেজা মিলন।