নীলফামারীর ডোমারে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে শত্রুতার জের ধরে এক অসহায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। অপর দিকে মমিনা বেগম নামে এক বিধবা নারীর নার্সারী বাগানের ২ শতাধীক গাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট রাউতা নদীয়পাড়া ২নং ফরেস্ট এলাকায়। ভুক্তভুগির অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উক্ত এলাকায় কাজী পাড়ার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে জাপান হোসেন সাদ্দাম এর ৯০ শতক জমি রয়েছে। সেই জমিটি চুক্তিনামা সুত্রে মৃত হাচানুর ইসলামের স্ত্রী মমিনা বেগম দীর্ঘ ২০ বছর যাবত চাষ আবাদ করে আসছে। বর্তমানে সেখানে নার্সারী বাগান করে চারাগাছ বিক্রি করে ভালই কাটছে দিনকাল। কিন্তু বাঁধসাধে নিয়তি, প্রতিবেশী মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে আঃ মান্নান (৪৫), বাবলু (৫২), নুরুল হক কালু (৪২) এর কুদৃষ্টি পরে ঐজমিতে। কারণে অকারণে অসহায় মমিনা বেগমের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে মমিনা বেগমের ঘড়ের পিছনে লাগানো একটি গাছ জোর পূর্বক কেটে নেয় আঃ মান্নান ও তার দলবল। এ সময় মমিনার বাবা আঃ ছালাম (৮৫) বাঁধা দিতে গেলে তাকে বৃদ্ধ পিতাকে বেধরক মারপিট করে তারা। বাবাকে বাঁচাতে মমিনা এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মারপিটের ফলে বৃদ্ধ আঃ ছালাম গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে থাকায়, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মমিনার নার্সারী বাগানের ২ শাতাধীক গাছ কেটে ফেলে দূর্বৃত্তরা। এতে করে প্রায় ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মমিনা জানান। এ বিষয়ে মমিনা বেগম বাদী হয়ে আঃ মান্নান সহ ৫জনের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গাছ কেটেনেয়া এবং নার্সারী বাগানে চারা বিনস্ট করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসহায় ভুক্তভুগি মমিনা বেগম।