1. backup@wordpress.com : backup :
  2. info2@icrbd24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  3. admin@icrbd24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

বিএফডিসিতে তুঘলকি কান্ড: প্রশাসন ও অর্থ পরিচালকের দৌরাত্ম্য

চলচ্চিত্র ফেরিওয়ালা
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

চলচ্চিত্রাঙ্গনের সবার কাছে ওপেন সিক্রেট দুর্নীতির জায়গা হলো ৩২২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মিত ১৭ তলাবিশিষ্ট বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প। পরিকল্পনা ছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ১৫ তলা ভবনের কাজ শেষ হবে। কিন্তু সেই মেয়াদ গত হয়েছে। নির্মাণ শেষ তো দূরের কথা, মোটে বেজমেন্ট পেরিয়ে মাথা তুলতে শুরু করেছ ভবনটি। কবে যে শেষ হবে কে জানে? দীর্ঘসূত্রিতার ফলে কর্মকর্তাদের সুবিধা ভোগের ক্ষেত্রও প্রসারিত হচ্ছে।

‘বেশি ভাড়া বেশি আয়’ এই সূত্র প্রয়োগ করে ফ্লোর ভাড়া বাড়িয়ে ও নিয়মের জাতাঁকলে ফেলে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিএফডিসি বিমুখ করা হয়েছে । তার সাথে যোগ হয়েছে ক্যামেরা, লাইট, ডাবিং ও এডিটিংয়ের অব্যবস্থাপনা।
সরকার পরিবর্তনের সুযোগে চলছে নানা কৌশল। বিএফডিসিকে অশান্ত রাখার কৌশল। বিএফডিসির ভোক্তা ও সেবা ভোগকারীদের নজর অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য উচ্চাকাঙ্খী কিছু উঠতি চলচ্চিত্রকর্মীদের যোগসাজোসে চলছে বিশৃঙ্খলার আয়োজন।
ইতোপূর্বে রেজাউল হক (অতিরিক্ত পরিচালক অর্থ ও বিক্রয়) এখন প্রশাসন ও অর্থের চলতি দায়িত্বরত পরিচালক বিরুদ্ধে অফিসিাল ও অভ্যন্তরীণ তথ্য চড়ামূল্যে আদান-প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছিল। চলচ্চিত্রের উন্নয়নকল্পে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের বিএফডিসির মহাপরিচালকের সাথে মতবিনিময় আয়োজনের আমন্ত্রণ জানানোকে কেন্দ্র করে বিএফডিসি’র উদ্যেগকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। এই ধুরন্ধর কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের আমলে নগ্ন দালালি করে আখের গুঁছিয়েছে। বহিরাগত লোকদের নিয়ে গত পনের বছর এফডিসি’র এমডিসহ অনেককে হুমকি ধামকি দেওয়ায়ে নিজেকে অস্পৃশ্য রেখে অব্যাহত ভাবে দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট রেখেছে। এখন পালাবদলের খেলায় ভোল পাল্টেছে। ‘ এমন কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই যে সেখান থেকে কমিশন খায় না’ এমন অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। এমনকি চলমান একটি মেগা প্রকল্প থেকে মাসিক মাসোহারাও পায় বলে জানা গেছে। মি. ফোর পার্সেন্ট নামে খ্যাত রেজাউল করিম এখনো বহিরাগতদের পেশীশক্তি ব্যবহার করে অর্থ তছরূপসহ এফডিসি নিয়ন্ত্রণের জাল বিছাচ্ছে।

সম্প্রতি ‘জহির রায়হান মিলনায়তন’ দুটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে বরাদ্দ চায়। এই কর্মকর্তা একটি সংগঠনকে প্ররোচিত করে একই তারিখে বরাদ্দ নেয়ার আবেদন দেখানোর লক্ষ্যে আবেদন পত্র প্রাপ্তির পর অবৈধ ও সরকারি কাজের নিয়মবহির্ভূত ও শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে হাতে লিখে ঘষামাজা করে তারিখ পরিবর্তন করিয়ে বিএফডিসিকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি দাড় করায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কাউকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। একটি সংগঠন নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপ মেনে নিয়ে শেষ মুহূর্তে তাদের সভা স্থগিত করে।
এই শেখ মুজিব পূজারী ও কলহপ্রিয় কর্মকর্তা গোপন আঁতাতের ভিত্তিতে প্রযোজক অফিসের ভেতরে সভা করার মৌখিক পরামর্শ দেয়। যেটি কেপিআই এলাকায় নিয়মবহির্ভূত, শিষ্টাচার বিরোধী ও আইনের পরিপন্থী। এ ব্যপারে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের বারবার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল কল রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সত্যতা বিবেচনায় পুরো ঘটনাবলী তদন্ত করা প্রয়োজন। প্রকৃত রহস্যোন্মচন জরুরি। যদি তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হয়, তা হলে এই কর্মকর্তার দুষ্টচক্র বিএফডিসিকে যে কোনো সময় যেকোনো জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে বলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2013- 2024