শেখ ফরিদ।।
দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিনের দারারপাড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সুলতানা বেগমের বিয়ে হয় ১৮ বছর পূর্বে।বিয়ের পর থেকে কষ্টে জীবন যাপন শুরু হয় সুলতানার। অভাবের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় সুলতানার স্বামী আব্দুল কাদেরের। কিভাবে কি করবে বুঝতে পারছেন সুলতানা।সুলতানা বলেন, একদিন দেবীগঞ্জ কৃষি অফিসের বিএস শেফালী আপা আমার বাসায় এসে আমার কষ্টের কথা শুনে পরামর্শ দেয় আপনি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন।
কিন্তু প্রথমে বুঝতে পারি নাই কিভাবে কি করব তাই রাজি হই নাই।পরে শেফালী আপার পরামর্শে ২০১৭ সালে ৪ টি রিং দিয়ে শুরু করি । এই ৪ টি রিং তার ভাগ্যের পরিবর্তন এনে দিবে তিনি কল্পনাও করতে পারেন নাই। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভার্মি কম্পোস্ট (কেচো সার) তৈরির রিং বৃদ্ধি পেতে থাকে এখন তার প্রায় ৬২টি রিং আছে কেচো আছে ২০০ কেজীর বেশী। এখন মাসে প্রায় ৯০০-৯৫০ কেজি কেচো সার উৎপাদন করি। এই ৫ বছরে কেচো সার বিক্রি করে আমার আয় হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার মত।
আমার বাড়ি ছিল টিনের এখন আমি চার রুমের একটি বাসা ,কাচা লেট্রিন থেকে পাকা লেট্রিন, এক বিঘা জমি বন্ধক,১০ টি গরু দিয়ে একটি খামার দিয়েছি।সবচেয়ে বড় আশা ছিল আমার স্বন্যের দুল বানানো সেটা পূরণ করতে পারলাম ভার্মি কম্পোস্ট কেচো সার বিক্রি করে। দুই ছেলে এক মেয়েকে পড়াশোনা করাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। এখন দিন ভালো যাচ্ছে। আমার মত যাদের সংসার অভাবে চলে তাদের জন্য আমি কেচো ফ্রি দিব।
যেখানে কেচো বিক্রি করি ১হাজার টাকা কেজি। তাদের জন্য আমার সহযোগিতা সবসময় পাবে।দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দর দীঘি ইউনিয়নেরউপ-সহকারী কৃষি অফিসার শেফালী বেগম জানান, “সুলতানা বেগমের সাথে কথা বলে দেবীগঞ্জ কৃষি অফিসে ভার্মি কম্পোস্ট এর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ করে দেই।প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৭ সালে চার রিং দিয়ে শুরু করে। এখন ৬২ টি রিং আছে। ভার্মি কম্পোস্ট (কেচো সার) তৈরি করে অনেক লাভবান হচ্ছে।আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেই।”