কবি ফারহানা আহমেদ পলি
আজ মানবের শুধুই পাথরসম চোখ দিয়ে দৃষ্টিপাত পৃথিবীতে।
যে চোখ দিয়ে দেখতে পেলেও না দেখার ভান করা হয়,
যে চোখে শুধুই বাহ্যিক চাকচিক্য আকৃষ্ট হয়ে আবদ্ধ হয়, সে চোখ পাথরসম।
যে চোখে অসহায় নিপিড়ীত অধিকার বঞ্চিত মানুষের কষ্ট দেখে সহযোগিতা সহমর্মিতা অনুভূতি প্রকাশে কস্টের অশ্রুপাত হয়না,
সে চোখ পাথরসম।
যে চোখে অন্ধগলির আঁধারে
খুঁজে বেড়ায় দেহ বিক্রেতার দেহে সুখের নরক।
সে তার স্ত্রীর বুকে শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারে না।
নষ্ট স্বপ্ন চোখে লালন করে
স্বপ্ন গুলোকে দুঃস্বপ্নে পরিনত করে অসহনীয় করে তুলেছে এই ধরনীকে।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টির বিষাক্ত ছোবলে
ধর্ষিত হচ্ছে অবুঝ শিশুটিও
যার মুখে এখনো লেগে আছে মায়ের দুধের ঘ্রাণ।
দৃষ্টি ভঙ্গী কিছুতেই বদলায়নি
বরং সেই দৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় ধ্বংসের নতুন নতুন আবিস্কারে পারমানবিক বোমা তৈরির পরিকল্পনা।
চেয়ে দেখো, সোমালিয়ার ক্ষুধার্ত শিশুদের,
যারা আকাশ পানে চেয়ে থাকে খাদ্যবাহী একটি হেলিকপ্টারের আশায়,
সেই চোখ ও ঝাপসা হয়ে আসে,
হেরিকাল্টারের পরিবর্তে নেমে আসে মাংসাশী শকুনের দল।
সেখানে আধমরাদের শকুন খুবলে খুবলে খাচ্ছে।
যে চোখে মানবতার মুক্তি হয় না
সেই চোখ পাথরসম। পথরসম চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখছি আমি আমরা সকলেই।