মাদারীপুর সদর উপজেলার ৭৪নং ধুরাইল কপালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন (৪৫) চাঁদাবাজি মামলায় ৮ দিন ধরে কারাগারে থাকলেও জানেন না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
মো. ফারুক হোসেনের কারাগারে থাকার বিষয়টি বুধবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা কারাগারের জেলার শঙ্কর কুমার মজুমদার।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের ইটখোলা বাজিতপুর গ্রামের মো. আজহার মোড়লের ছেলে ৭৪নং ধুরাইল কপালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফারুক হোসেনসহ ছয় জনের নামে একই এলাকার মো. আ. কুদ্দুস মোড়ল বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত মমলাটির তদন্তভার প্রদান করেন গোপালগঞ্জের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআই তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দালিখ করে।
মামলার আসামিরা জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট ২৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আসামিরা ৪ জানুয়ারি মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ এবং জামিনের আবেদন করেন।
মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা দুজন মো. ফারুক মোড়ল অরফে ফারুক হোসেন এবং ফরিদ মোড়লকে (৪২) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন ৮ দিন ধরে কারাগারে থাকলেও বিষয়টি জানেন না উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৭৪নং ধুরাইল কপালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুর জাহান বলেন, সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন ১ জানুয়ারি আমার কাছে তিন দিনের জন্য ছুটির আবেদন করেন। পরবর্তীতে তার পরিবার থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে একটি মামলায় ৪ জানুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। আমাকে তার পরিবার থেকে লিখিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তাই আমি এটিও স্যারকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাতে পারিনি।
সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষক কারাগারে থাকার বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানাননি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাশিদা খাতুন বলেন, ৭৪নং ধুরাইল কপালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন কারাগারে আছে তা আমি জানি না। আমাকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। এখন আমি আপনার (সাংবাদিক) মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।