Header Border

ঢাকা, বুধবার, ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল) ২৪.৯৬°সে
শিরোনাম :
ডিমলায় ভিক্ষুক পুনবার্সনের লক্ষ্যে উপকরন বিতরন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে হত্যা দায়ে কুষ্টিয়ার যুবকের মৃত্যুদন্ড কুষ্টিয়া কুমারখালীতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ডিমলায় আইন-শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ মামলায় আটক ৮১ তিস্তার ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের যথার্থ ব্যবহার ও সংরক্ষণে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল পঞ্চগড় জেলা ইজতেমা ইজতেমা থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক আজ থেকে শুরু ৩ দিন ব্যাপি বাউল সম্রাট লালন স্মরণোৎসব বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) আলু ফসলের প্রদর্শনী প্লট ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স

খালেদা জিয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও কাটছে না শঙ্কা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সর্বশেষ হাসপাতালে ভর্তি হন গত ১৩ নভেম্বর। এরপর থেকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে এক মাস ২৭ দিনের মাথায় গত ৯ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে খালেদা জিয়াকে কেবিনে নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে টানা দুই মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসসির কারণে থেমে থেমে ক্ষুদ্রান্তে রক্তক্ষরণ, রক্তবমি, হিমোগ্লোবিন ওঠা-নামাসহ নানা তীব্র জটিলতায় ভুগছেন। তার ক্ষুদ্রান্তের নিচে রক্তক্ষরণের উৎস বন্ধ করতে ‘ব্যান্ড লাইগেশন’ করা হয়েছে। টানা কয়েকদিন অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় যে কোনো সময় নতুন উৎস দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। এটা ছাড়া আমার কাছে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।’

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক চিন্তিত। যে কোনো সময় তার অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। তাকে দ্রুত বিদেশ পাঠালে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব।’

জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির দুদিন আগে অর্থাৎ ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তার ওই আবেদন আইনি মতামতের জন্য পাঠানোর হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।

২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আইনমন্ত্রী জানান, ‘আইন এবং পূর্বে এমন পরিস্থিতিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের নজির খুঁজছেন তিনি’।

৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে ‘আইনি উপায়’খোঁজার কথা বলেছিলেন আইনমন্ত্রী। অবশেষে ২৮ ডিসেম্বর তিনি আইনি মতামত পাঠান স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

ওইদিন বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার একটি চিঠি দিয়েছেন। আমরা দেখেছি এবং আইনমন্ত্রী সেটির ওপর মতামতও দিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে এ বিষয়ে আইনি কোনো সুযোগ নেই।

দুই মন্ত্রণালয় থেকে ‘না’ করার পর থেকে খালেদা জিয়ার ‘জীবননাশের ষড়যন্ত্র করছে সরকার’—এমন অভিযোগ করছে বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের হুমকি দিয়ে আসছেন দলটির নেতারা।জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। কেন সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিতে চায় না? তারা আইনের কথা বলেন। আইনের মধ্যেই বলা আছে, সরকার চাইলেই তাকে এই মুহূর্তে বিদেশে পাঠাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বাধা আইন নয়, বাধা হলো এই সরকার। সরকার খালেদা জিয়াকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে সরকারের প্রত্যেকেকে আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

জামাত বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুব সমাবেশ
জি এম কাদের ফের করোনায় আক্রান্ত
মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন হয়নি: ফখরুল
মুক্তির তাড়নায় দেশবাসী ছটফট করছে: ইবরাহিম
দেশে নিরপেক্ষ কোনো বিচার নেই: রিজভী
খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ

আরও খবর