Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল) ২৩.৯৬°সে

২০ বছরেও হয়নি চরএলাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী উচ্চ বিদ্যালয়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণের নদী উপকূলীয় প্রত্যন্ত গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২০ বছরেও হয়নি এ বিদ্যালয়টির এমপিওভুক্তি। ফলে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

উপকূলীয় ইউনিয়ন চরএলাহীর অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চরএলাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, নিজস্ব ভূমি, এফডিআর, প্রয়োজনীয় ছাত্র-ছাত্রীসহ এমপিওভুক্তির সব শর্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু এরপরও বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের প্রত্যক্ষ উদ্যোগে এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় উপজেলার সর্বদক্ষিণে উপকূলীয় চরাঞ্চলের অবহেলিত জনপদে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তিন একর জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যালয়টির স্বীকৃতি ও পাঠদান অনুমোদন নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৯৪ সালে জুনিয়র শাখার এমপিওভুক্ত হয়।

পরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে মাধ্যমিক শাখা খোলা ও পাঠদান অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১০ সাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমোদন পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৫২ জন, নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১২৬ এবং দশম শ্রেণিতে ৭৬ জন। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ জন।

২০০১ সাল থেকে পাঠদান ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে স্বীকৃতি পেয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন করে গেলেও অজ্ঞাত কারণে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষানুরাগী সুধীজনরা হতাশ।

চরএলাহীর শিক্ষানুরাগী আকবর হোসেন বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষ এমনিতেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্কুলটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অষ্টম শ্রেণির পর থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেড়ে যায়। যতদ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়টিকে বিশেষ বিবেচনায় হলেও এমপিওভুক্ত করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিবলেন, সরকারের উচিত দুর্গম উপকূলীয় এলাকার সুবিধাবঞ্চিত এসব ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করা। তা না হলে শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা টিকে থাকতে পারবে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ূব আলী বলেন, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় জনবল কাঠামো মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগ দিলেও তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও প্রকৃত শিক্ষার প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী নদীভাঙা ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা পরিবারের। এখানকার বেশিরভাগ অভিভাবক শ্রমিক, কৃষক ও মৎস্যজীবী। এ প্রান্তিক এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য সুষম শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়টিকে জরুরি ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ কামাল পারভেজ বলেন, চলতি বছরও ও বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব চহিদাপূর্ণ করে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা থেকে দূরবর্তী এ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হলে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার হ্রাস পাবে। শিক্ষকরাও পাঠদানে আরও দায়িত্বশীল হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ডিমলায় ভিক্ষুক পুনবার্সনের লক্ষ্যে উপকরন বিতরন
ডিমলায় আইন-শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
তিস্তার ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের যথার্থ ব্যবহার ও সংরক্ষণে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত
আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল পঞ্চগড় জেলা ইজতেমা
ইজতেমা থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক

আরও খবর