1. backup@wordpress.com : backup :
  2. info2@icrbd24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  3. admin@icrbd24.com : admin :
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

সংস্কৃতি অঙ্গনের ‘টু ইন ওয়ান’ নেতারা সর্ব মহলে ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে চিহ্নিত— চিত্রনায়ক উজ্জ্বল

চলচ্চিত্রের ফেরিওয়ালা
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

‘শেকড়ের সাথে যারাই বেইমানি করেছে, তারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে’ উল্লেখ করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি চলচ্চিত্রজন চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের ‘টু ইন ওয়ান’ নেতারা সর্ব মহলে ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে চিহ্নিত। এখন বিভিন্ন সংগঠনের নামে এই সব দালালদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে। এই কুচক্রীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে, এরা চলচ্চিত্র নয়, চেয়ার ভালোবাসে, এদেরকে যেকোনো মূল্যে জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে। মনে রাখতে হবে বিগত ষোল বছরের বিসর্জনকারী শহিদের আত্মা তাদেরকে ক্ষমা করবে না।’

১৪ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার বিকেলে মগবাজারস্থ জলপাই রেস্তোরাঁয় বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থসংরক্ষণ কমিটি’র উপদেষ্টা পরিষদের মতামত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। সংগঠনের আহ্বায়ক বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সদস্য সচিব অভিনেতা চৌধুরি মাজহার আলী (শিবা সানু)’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল খায়ের বুলবুল, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, চলচ্চিত্র প্রদর্শক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল স্ক্রিপ্ট রাইটার কাসেম আলী দুলাল, চিত্রগ্রাহক মো. খোরশেদ আলম, অভিনেতা ফাইয়াজ আহমেদ ববি, চিত্রনায়ক মেহেদি হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও ফাইট ডিরেক্টর আরমান, চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন মিলন, সংগঠক হান্নান মজুমদার চলচ্চিত্র পরিচালক হানিফ রেজা মিলন, চিত্রগ্রাহক খোরশেদ আলম চৌধুরি, সংগঠক জিএম সাইদ, চলচ্চিত্র পরিচালক নজরুল ইসলাম বাবু, চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম, এম. এ মুহিদ প্রমুখ

বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ বলেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিকল্প নেই। ধ্বংসপ্রায় চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রাণ সঞ্চার করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল খায়ের বুলবুল বলেন, উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে হলে মুখোশধারীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থসংরক্ষণ কমিটি সংগঠিত হওয়ার প্রথম দিন থেকেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আবর্জনা পরিষ্কারে যেভাবে ভূমিকা রাখছে, এ ধারা অব্যাহত রাখলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও সংগঠনের আহ্বায়ক বদিউল আলম খোকন বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থসংরক্ষণ কমিটি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে। চলচ্চিত্রবিষয়ক কমিটিগুলো অভিজ্ঞ চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের সমন্বয়ে পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন চলচ্চিত্রের মানুষ ছাড়া চলচ্চিত্রের উন্নয়ন পরিকল্পনার রোডম্যাপ প্রণয়ন করা সম্ভব নয়।

সংগঠনের সদস্য সচিব অভিনেতা চৌধুরি মাজহার আলী (শিবা সানু) বলেন, রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি। জেল-জুলুম সহ্য করেছি, কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করিনি। এখনো যারা ফ্যাসিস্টের চ্যালাচামুণ্ডাদের পুনর্বাসন করতে চান সতর্ক হয়ে যান। চলচ্চিত্র আঙিনা, কখনো কোনো মীরজাফরকে ক্ষমা করেনি।’

অভিনেতা ফাইয়াজ আহমেদ ববি বলেন, চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল স্বপ্রণোদিত হয়ে যে ভাবে ফ্যাসিস্ট মুক্ত চলচ্চিত্র পরিবারকে একত্রিত করেছেন, তা প্রশংসনীয়। শুভ চিন্তা সফল হবেই।

চিত্রনায়ক মেহেদি হাসান বলেন, কথা পরিষ্কার, পেছনে তাকানোর সময় নেই, চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে যা যা করা লাগবে তাই করতে হবে। সততা ও নীতির ভেতর থেকে কাজ করলে সর্বমহলের সহযোগিতা পাওয়া যাবে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, মাঠে ছিলাম, মাঠে আছি, সিনেমা ও সিনেমা হল বাঁচিয়ে রাখতে যে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত আছি।

চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন মিলন বলেন, উন্নয়নের পথে হাঁটতে হলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছি, চলচ্চিত্রাঙ্গনে কোনো দালাল ও চাটুকারদের দৌরাত্ম্য সহ্য করা হবে না। ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

হান্নান মজুমদার বলেন, আমরা যারা বৈষম্যের শিকার, তারা সব সময় ঐক্যবদ্ধ ছিলাম ও আছি। উন্নয়নের স্বার্থে যা যা করা লাগে তাই করতে প্রস্তুত আছি।

চলচ্চিত্র পরিচালক হানিফ রেজা বলেন, ক্ষয়ে যাওয়া চলচ্চিত্রের অবস্থা পরিবর্তনে জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

জি এম সাঈদ বলেন, চলচ্চিত্র অস্তিত্ব সংকটে, অবস্থা পরিবর্তনে দরকার সবার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা।

চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে চলচ্চিত্র কর্মীদের সংযুক্ত করা ছাড়া কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2013- 2024