দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী প্রধান পাড়া এলাকার তহিদুল ইসলামের ছেলে মোখলেছুর রহমানের বয়স মাত্র ৯ বছর। জন্মের পর থেকেই ভুকছে থ্যালাসেমিয়ার রোগে ।
প্রতি সপ্তাহে শরীরে নিতে হয় রক্ত, অনিশ্চিত জীবন শিশু মোখলেছুরের!যখন অন্য দশজন শিশুর মত দৌড়ে বেড়ানোর কথা, তখন কখনো হাসপাতাল অথবা বাড়ির বিছানায় বিছানায় শুয়ে কিংবা নিরব বসে থাকতে হয় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের ৯ বছর বয়সের মোখলেছুর রহমানের । কারণ তার শরীরের কোষে থ্যালাসেমিয়ার বিষাক্ত ছোবল।
চোখের মনির সাদা অংশেও জমাট বেঁধেছে রক্ত, দেহজুড়ে কালচে দাগে বিভৎস রূপ। দাঁতের গোড়া থেকে পড়ে রক্ত, এমনকি প্রস্রাবের পথেও রক্তপাত হয়।
পূর্বে মাসে একবার শরীরে রক্ত নিতে হলেও এখন রক্ত নিতে হয় প্রতি সপ্তাহে । বাড়ির সাথেই খারিজা ভাজনি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থিদের দেখে তারও হয়তো ইচ্ছে হয় দূরন্ত ছুটে চলার। কিন্তু ভাগ্য নিষ্ঠুরতা দমিয়ে রেখেছে তাকে। (মাদ্রাসার নাম টা অবশ্যই রাখবেন তাতে মানুষজন লোকেট করতে পারবে এবং ছেলের বাবাকে চিনবে)
উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী, প্রধান পাড়ার তহিদুল ইসলামের ছেলে মোখলেছুর অসুস্থ হওয়ায় তাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় দিনমজুর পিতাকে।নিজের বলতে যা কিছু ছিল—সবই বিক্রি করে দিয়েছেন ছেলের চিকিৎসার পেছনে, এখন আর বাড়ি ভিটা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই তার। অন্যের জমি পেরিয়ে পৌঁছান নিজের ঘরে।
ছেলেকে নিয়ে ছুটাছুটিতে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেন না কোন কাজে।একমাত্র ছেলে মোখলেছুরকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে চোখের সামনেই! মা মাজেদা খাতুন এর আশা ভরসা যেন মিশে যাচ্ছে মাটিতে।
বোনের অসহায় চোখের পানিতেও লুকিয়ে আছে তিব্র সহানুভূতির হাহাকার। তবুও মেলেনি কোনও সরকারি সহায়তা, আসেনি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি।একটু সহানুভূতি আর সহযোগিতা পেলে হয়তো মোখলেছুরও ফিরে পাবে স্কুলের আঙিনা আর শৈশবের আনন্দ।
পিতা – তহিদুল ইসলাম,
(রকেট , নগদ – 01328578508 )
মাতা – মাজেদা খাতুন
গ্রাম: খারিজা ভাজনী প্রধান পাড়া, ইউনিয়ন: টেপ্রীগঞ্জ,
উপজেলা: দেবীগঞ্জে, জেলা: পঞ্চগড়।