আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে পারফেরম্যান্সের পরই পাকিস্তান দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার বাবর আজম এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই এই দুই ক্রিকেটার।
এ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে চলছে তোলপাড়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চাচ্ছে, সফরের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলুক। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ানরা বোর্ডের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। তবে পাকিস্তানের মিডিয়াগুলো জানাচ্ছে, ওয়ানডে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলবেন, তবে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে খেলতে চান না তিনি।
এরই মাঝে পাকিস্তানে চলছে ন্যাশনাল টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপ; কিন্তু সেখানে খেলছেন না রিজওয়ান। পরিবর্তে পেশোয়ারে একটি ক্লাবের হয়ে খেলতে দেখা গেছে তাকে। এ খবর প্রকাশের পর পাকিস্তানের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে বলছেন, অধিনায়কই যদি বোর্ডের কথা না শোনেন, তা হলে বাকিরা কেন শুনবেন।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে রিজওয়ান, বাবর আজম ছাড়াও নাসিম শাহকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। তারাও ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলছেন না। অর্থাৎ, পাকিস্তানের সবচেয়ে সিনিয়র দুই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চানন না। এটি পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন নয়।
২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ছবি দেখা গেছে। এবার দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। বাবর, রিজওয়ানদের সমালোচনা হচ্ছে দেশেই।