ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে বন্দিদের স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কারারক্ষী রহিম প্রথমে এক বন্দির স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে দেখা করানোর আশ্বাস দেন। এরপর সহকারী প্রধান কারারক্ষী আমিনুল এসে রহিমের সঙ্গে কথা বলেন এবং সাক্ষাতের জন্য ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি নজরে আসলে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত দুই কারারক্ষীকে তাৎক্ষনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, ভিডিওর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত কারারক্ষী রহিম ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবী, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের জেলার শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চাইলে কারাগারের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কারা ডিপার্টমেন্টের সুনাম নষ্ট হবে এমন কোন কাজ যদি কারাগারের কোন স্টাফ করে- তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পানিশমেন্ট এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আজকে সাক্ষাৎ করানোর জন্য টাকা গ্রহণ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আসলে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান কারারক্ষী আমিনুল ও কারারক্ষী রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারকে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো কারারক্ষী যদি কোনো অনিয়ম করে তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।