দেশজুড়ে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অভিযানে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ১৩০৮ জ্নের মধ্যে গাজীপুর মেট্রোতে ২৭৪ জন এবং গাজীপুর রেঞ্জে ৪০ জন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে শনিবার থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করে যৌথ বাহিনী। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযানের কথা জানানো হয়।
এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে, গাজীপুরের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অধিকাংশ সাধারণ জনগণ এই অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এটি দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তবে, কিছু মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, এই ধরনের অভিযানে নিরপরাধ ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রাথমিক ধাপে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযান দীর্ঘমেয়াদী হবে এবং সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
অভিযানটি বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে:
এই বাহিনীগুলো একযোগে অভিযান পরিচালনা করছে এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করছে
গত ৭ ফেব্রুয়ারি, গাজীপুরের একটি এলাকায় ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এই হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।