অনন্ত আহমেদ ফুল মিয়া বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির একজন অন্যতম উদিয়মান তরুণ প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, গীতিকার এবং মানবতাবাদী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার লেখা গানগুলি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় এবং তিনি বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন।
অনন্ত আহমেদ ফুলমিয়া ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসের ২ তারিখে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
বাবা মোঃ নশু মিয়ার পাঁচ সন্তানের মধ্যে অনন্ত আহমেদ ফুল মিয়া সবার বড়। তার ছোটো তিন ভাই ও দুই বোন রয়েছে।
কবি ছোটোবেলাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদী-নালা, গ্রামীণ জীবন দেখে মুগ্ধ হতেন। পরে তাই প্রতিফলিত হয়েছে তার লেখা কবিতা ও গানে। তিনি লোকগান ও বাউল সংগীতের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। সেই থেকেই তার গান লিখার প্রেরণা পান।
তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা । ফোকধর্মী তার গানগুলিতে প্রেম, বিচ্ছেদ, দেশপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে তিনি মানুষের আবেগের ছোঁয়া এনেছেন।
বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতের সাথে যুক্ত আছেন এবং তার গানগুলি বাংলাদেশের সংগীত জগতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। বিশেষ করে তরুণ সংগীতপ্রেমীরা তার গান বেশ পছন্দ করেন। ইতোমধ্যেই তার লেখা গান ও কবিতা বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে উঠেছে এবং প্রশংসিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার অর্ধশতাধিক গান রিলিজ হয়েছে এবং রিলিজের পথে রয়েছে প্রায় শতাধিক বাউল ও ফোক সংগীত।
গানের পাশাপাশি তিনি অন্যান্য সাহিত্যকর্মও করেছেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস লেখাতেও সমান তালে দেখিয়েছেন পারদর্শীতা।
তিনি সবসময় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে দরিদ্র শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা ইত্যাদি কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। দুর্গত মানুষের উপকার করা তার একটি প্রিয় শখ।
অনন্ত আহমেদ ফুলমিয়া কিছু সময়ের জন্য বর্তমানে কর্মসূত্রে কুয়েতে বসবাস করছেন।
মরুর দেশ কুয়েতে থাকলেও অনন্ত আহদেম ফুল মিয়া প্রতিনিয়ত তার হৃদয়ে ধারন করেন লাল সবুজের বাংলাদেশ। নিয়মিত লেখালেখির সাথে বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের সাথে তার রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
তার উক্তি “এসো আমরা সবাই মা বাবাকে ভালোবাসি” এ থেকে বোঝা যায় যে তিনি একজন সরল এবং খাঁটি মনের মানুষ।
তার উক্তি “মনে রেখো এক হাজার মিথ্যে কথা বলার চেয়ে একটি সত্য কথা বলার অনেক মূল্য। এটা থেকে বোঝা যায় যে তিনি সত্যবাদী।
তিনি পরিবারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তার বিভিন্ন কথায় মায়ের প্রতি তার গভীর মমত্বের কথা বারবার ফুটে উঠেছে।
তিনি তার সাহিত্য ও সামাজিক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা । অনন্ত আহমেদ ফুল মিয়া একজন মহান ব্যক্তিত্ব। যিনি বর্তমানে বাস করেও তার শাণিত কলমের মাধ্যকে অতিক্রম করেছেন সময়কে। তার সাহিত্যকর্ম এবং সামাজিক কাজের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি মানবতাবাদী চেতনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।